সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মানব জাতীর সৃষ্টিতত্ব:

স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের বললেন “আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করবো” তারা বলল: আপনি কি যমীনে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যে, তারা তন্মধ্যে অশান্তি উৎপাদন করবে এবং রক্তপাত করবে? এবং আমরাই তো আপনার প্রশংসা গুনগান করছি এবং আপনারই পবিত্রতা বর্ণনা করে থাকি। তিনি বললেন: তোমরা যা অবগত নও, নিশ্চয় আমি তা পরিজ্ঞাত আছি। এবং তিনি আদমকে সমস্ত নাম শিক্ষা দিলেন, অনন্তর তৎসমুদয় পেরেশতাদের সামনে উপস্থাপিত করলেন, তৎপর বললেন: যদি তোমরা সত্যবাদী হও, তবে আমাকে এসব বস্তুর নামসমূহ বিজ্ঞপিত কর। তারা বলেছিল- আপনি পরম পবিত্র, আপনি আমাদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছেন তদ্ব্যতীত আমাদের কোনই জ্ঞান নেই, নিশ্চয়ই আপনি মহাজ্ঞানী, বিজ্ঞানময়। তিনি বলেছিলেন হে আদম, তুমি তাদেরকে ঐ সকলের নাম সমূহ জ্ঞাপন কর, অত:পর যখন সে তাদেরকে ঐগুলোর নামসমূহ পরিজ্ঞাপন করেছিল, তখন তিনি বলেছিলেন: আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, নিশ্চয় আমি ভূমন্ডল ও নভোমন্ডলের অদৃশ্য বিষয় অবগত আছি এবং তোমরা যা প্রকাশ কর ও যা গোপন কর আমি তাও পরিজ্ঞাত আছি।   যখন আমি ফেরেশতাগনকে বলেছিলাম যে, তোমরা আদমকে সিজদা কর, তখন ইবলিস ব্যাতীত সকলে সিজদা করেছিল, সে অগ্রা

আঁচিল

  আঁচিল শরীরের যেকোনো জায়গায় হতে পারে, তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ঘাড়ে, বগলে, কুঁচকিতে, বুকের উপরের দিকে ( নারীদের ক্ষেত্রে স্তনের নিচে) । এগুলো চোখের পাতায় এমনকি নিতম্বের ভাঁজেও হতে পারে। আপনার শরীরে আঁচিল একটা, দুইটা বা অনেকগুলো একসাথে হতে পারে।

টিউমার

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, টিউমার হচ্ছে— কিছু অস্বাভাবিক টিস্যুর সমাবেশ, যেখানে কোষগুলো অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সংখ্যা বাড়ায়। টিস্যু মানেমানবদেহে বিলিয়ন নয়, ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন কোষ আছে। ধরা হয়, একজন প্রাপ্তবয়স্কের দেহে গড়ে ৩০ ট্রিলিয়নের মতো কোষ থাকে। কোষের ভেতর কিছু নিয়মে পুরনো কোষ মরে যায়, নতুন কোষ জন্ম নেয়, আবার কিছু কোষ আকারে বাড়ে, কিছু কোষ সংখ্যায় বাড়ে। কিন্তু কোন কোষ মরে যাবে এবং কোন কোষ কতগুলো নতুন কোষ জন্ম দিতে পারবে, কোন কোষের আকার কেমন হবে— কোষের এমন সব বৈশিষ্ট্যকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কোষের ভেতর কিছু নির্দেশ বা নিয়ম থাকে। আর সে নিয়মগুলো থাকে ডিএনএতে। কোনো কারণে ডিএনএর মধ্যে থাকা এ নির্দেশ প্রক্রিয়া পরিবর্তন হয়ে গেলে কোষগুলো তখন অস্বাভাবিকভাবে নতুন কোষের জন্ম দিতে থাকে, পুরনো কোষ মরে না গিয়ে হযবরল ঘুরতে থাকে, অথবা নতুন জন্ম নেওয়া কোষগুলো কাজবিহীন ঘুরে বেড়ায়। কারণ কোষগুলোতে কোথায় গিয়ে থামতে হবে তার নির্দেশ থাকে না, কী কাজ করবে তার নির্দেশটি পরিবর্তন হয়ে যায়। তখন পরিবর্তিত ডিএনএর নির্দেশে রোবটের মতো একের পর এক নতুন কোষের জন্ম দিতে থাকে, নতুন অস্বাভাবিক কোষের সংখ্যা বেড়ে বেড়ে

হাড়ের টিউমার

  ম্যালিগনেন্ট বোন টিউমার থেকেই মূলত হাড়ের ক্যান্সার হয়। হাড়ের কোষে টিউমার , অস্টিওজেনেটিক দেহ কলার মারাত্মক টিউমার , কন্ড্রোমা সারকোমাটোসাম ইত্যাদির কারণে এটি হয়ে থাকে। হাড়ের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি ও সংক্রমণের কারণে ক্যান্সার হতে পারে।

মানুষের কেন রোগ হয়?

পৃথিবীর কোন মানুষই ১০০% সুস্থ হয় না কেন? প্রত্যেকেই এক বা একাধিক রোগে ভোগেন কেন? মানুষের মাঝে দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা ক্রনিক ডিজিস দেখা দেয় কেন? ড. সিলভারের মতে ব্যাকপেইন হলো মানুষের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী রোগ। পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষই এই রোগে ভোগেন। কারন মানুষ পৃথিবীর অন্যান্য প্রানীদের মতন চারপায়ে হাটেনা। পৃথিবীর বাকি প্রানীদের কি ঘাড়ে পিঠে বা কোমরে ব্যাথা হয়? মানুষের এই ব্যাকপেইন রোগটি প্রমাণ করে মানুষের দেহ অন্য কোন গ্রহে বসবাসের জন্য সৃষ্টি হয়েছিল। যে গ্রহের মধ্যা-কর্ষন ক্ষমতা ছিল পৃথিবীর তুলনায় অনেক কম। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন ক্ষমতা বেশি থাকার কারণে নিজের দেহর ওজনের কারনে  স্পাইনাল নার্ভ সংকুচিত হয়ে পড়ে। ফলে কোমর থেকে পা পর্যন্ত ব্যাথা হয়ে থাকে।  এর সমাধানকল্পে ফিজিওথেরাপীস্টের মাধ্যমে ট্রাকশন থেরাপী দেওয়া হয়। যদি ৫ ওয়াক্ত সালাতের সময় সিজদাহ ও রুকুতে সময় বেশি দেওয়া হয় তবে ট্রাকশন থেরাপী ছাড়াও মানুষ এই রোগ থেকে আরোগ্য পেতে পারে। লেখক- ডা: মো: মোসাদ্দেক হাসান ডিএমএফ, বিডিএ ডিএইচএমএস (ঢাকা)  

মানুষ এই গ্রহের বাসিন্দা নয়:

  ড. এলিস সিলভার দাবি এই মানুষ পৃথিবীর জীব নয়। এই বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী অনেক আগেই বলেছিলেন এলিয়েন আছে। নাসার বিজ্ঞানীরা কেপলার টেলিস্কোপের সাহায্যে এমন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন যাদের মধ্যে প্রাণী রয়েছে। নাসার বিজ্ঞানীদের দাবী এলিয়েনদের থেকে নাসা বেশি দূরে নেই। কয়েক বছরের মাধ্যে নাসা এলিয়েনদের কাছে পৌছাবে। সম্প্রতি নাসার এই মতবাদে জল ঢেলে দিয়েছেন এক বিজ্ঞানী। তিনি তার Human are not for earth - বইতে প্রমান করেছেন মানুষই এলিয়েন। তিনি তার বইতে যুক্তি দিয়ে প্রমান করতে চেয়েছেন মানুষ পৃথিবীর জীব নয়। অন্য জীবদের মত মানুষের সৃষ্টি পৃথিবীতে হয়নি। কয়েক লক্ষ বছর আগে অন্যগ্রহ থেকে মানুষকে পৃথিবীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ড. সিলভার বলেন-মানুষের শরীর থেকে অনেক ত্রুটি বুঝিয়ে দেয় পৃথিবী আমাদের জন্য নয়। ড. এলিস সিলভার ভাষ্যমতে মানুষকে যে স্থানে সৃষ্টি করা হয়েছিল সেই স্থানটি অনেক আরামদায়ক ছিল। সেখানে মানুষ অনেক সুখে শান্তিতে বাস করতো। সেই সাথে সেখানকার মানুষেরা অনেক নরম মেজাজের এবং আরাম প্রিয় ছিল। তারা এমন একটি জগতে বসবাস করতো যেখানে খাবার সংগ্রহের জন্য কোন প্রকার কষ্ট সহ্য করতে হতো না। সেখানকার প্রকৃতি এমন ছিল

আত্না ও দেহ

  মৃত্যু নিছক দেহ ও রূহের আলাদা হয়ে যাবার নাম- সম্পুর্ণ বিলুপ্ত ও নিশ্চহ্ন হয়ে যাবার নাম নয়। দেহ থেকে আলাদা হয়ে যাবার পর রূহ নিশ্চন্ন হয়ে যায় না। বরং দুনিয়াবী জীবনের অভিজ্ঞতা এবং মানবিক এবং নৈতিক উপার্জনের মাধ্যমে যে ব্যক্তিত্ব সৃষ্টি হয়েছিল তার সবটুকু সহকারে জীবিত থাকে। এ অবস্থায় রূহের চেতনা অনুভুতি, পর্যোবেক্ষন ও অভিজ্ঞতার অবস্থা অনেকটা স্বপ্নের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। একটি অপরাধী রূহকে ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসাবাদ, তারপর তার আযাব ও যন্ত্রণার মধ্যে পড়ে যাওয়া এবং তাকে দোজখের সামনে উপস্থিত করা-এসব কিছু এমন একটি অবস্থার সাথে সাদৃশ্য রাখে যা একজন খুনের আসামীকে ফাসী দেবার তারিখের একদিন আগে একটি ভয়ংকর স্বপ্নের আকারে তার কাছে উপস্থিত হয়। অনুরূপভাবে একটি পবিত্র পরিচ্ছন্ন ও নিষ্কলুষ রূহের সম্বর্ধনা, তার পর তার জান্নাতের সুখবর শোনা এবং জান্নাতের বাতাস ও কুশবুতে আপ্লুত হওয়া- এসব কিছুও এমন একজন কর্মচারীর স্বপ্নের সাথে মিলে যায়, যে সুচারুরূপে নিজের কাজ সম্পন্ন করার পর সরকারের ডাকে হেড কোয়ার্টারে হাযির হয় এবং সাক্ষাতকারের জন্য চুক্তিবদ্ধ তারিখের একদিন আগে ভবিষ্যত পুরুষ্কারের প্রত্যাশাদীপ্ত একটি মধুর স্বপ

থ্যালাসেমিয়া:

  থ্যালাসেমিয়া রক্তের লোহিত রক্ত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগের নাম। এই রোগে লোহিত রক্ত কণিকাগুলো নষ্ট হয়। ফলে রোগী রক্তশূন্যতায় ভোগে। এই রোগ বংশপরম্পরায় হয়ে থাকে। এটি একটি অটোসোমাল রিসিসিভ ডিজঅর্ডার, অর্থাৎ বাবা ও মা উভয়েই এ রোগের বাহক বা রোগী হলে তবেই তা সন্তানে রোগলক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায়। চাচাতো-মামাতো-খালাতো ভাইবোন বা অনুরূপ নিকট আত্নীয়য়ের মধ্যে বিয়ে হলে এ ধরনের রোগে আক্রান্ত সন্তান জন্ম দেওয়ার আশঙ্কা বহুগুন বেড়ে যায়। সূরা নিসা-২৩: তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা, মেয়ে, বোন, ফুফু, খালা ভায়ের মেয়ে, বোনের মেয়ে, দুধমা, দুধবোন, শাশুড়ী ও তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সাথে সংগত হয়েছে তার আগের স্বামীর ওরসে তার গর্ভজাত মেয়ে, যারা তোমাদের অভিভাবকত্বে আছে। তবে যদি তাদের সাথে সংগত না হয়ে থাক, তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই। আর তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ তোমাদের ঔরসজাত ছেলের স্ত্রী ও দুই বোনকে একত্র করা। আগে যা হয়েছে, হয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশিল, পরম দয়ালু।   সূরা নিসা-২২: নারীদের মধ্যে তোমাদের পিতৃপুরুষ যাদেরকে বিয়ে করেছে, তোমরা তাদের বিয়ে করো না। নিশ্চয় তা ছিল অশ্লীল, মারাত্

পাকস্থলীর প্রদাহ(Gastrities)

  চিকিৎসার জন্য আগত রোগীর অধিকাংশই গ্যাস্ট্রাইটিসের। যার অন্যতম কারণ হলো- o        অনিয়মিত জীবন-যাপন করা। o        মাত্রাতিরিক্ত খাদ্য খেলে কিংবা চিবিয়ে না খেলে তা সহজে হজমের কার্যে ব্যাঘাত ঘটায়, ফলে পাকস্থলীতে প্রদাহ হয়। o        অর্ধ সিদ্ধ কিংবা কাঁচা খাদ্য(যে খাদ্য খাওয়া অনুচিত)খেলে ঐ রোগ হয়। o        বেশি পরিমাণ মদ্য পান করলেও পাকস্থলীতে প্রদাহ হয়। o        বিষাক্ত খাদ্য খেলে এই রোগ হয়। o        সহজে হজম হয়না এমন খাদ্য কিংবা অসময়ে খাদ্য খেলে এই রোগ হয়। o        অতিরিক্ত চা পান করা। o        ধূমপানের জন্যও এই রোগ হয়।   পাকস্থলীর প্রদাহ(Gastrities)-এর প্রতিকার o        পাকস্থলীর মারাত্নক প্রদাহ হলে যথাসময়ে চিকিৎসা করা উত্তম। কেননা, এই রোগের উপর্যপরি ভুগলে রোগ পুরাতন হয় এবং পরিশেষে হাইপার এসিডিটি কিংবা হাইপো এসিডিটি পর্যন্ত গড়াতে পারে। o        রোগ সৃষ্টি হবার কারণ সমূহ সতর্কতার সাথে বিবেচনা করতে হবে। o        অতিরিক্ত গরম মসলাযুক্ত খাদ্য, কম সিদ্ধ, কাঁচা কিংবা কঠিন খাদ্য খাবেনা। যে খাদ্য সহজে হজম হয় অর্থাৎ সহজ পাচ্য খাবার খাবে। o        বেশীক্ষণ খালি প

ব্রেস্ট ফিডিং

  গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের পর মায়ের বকে প্রচুর দুধ সঞ্চিত হয়। শিশুর জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে সম্পুর্ণ চাহিদা মেটানোর জন্য মায়ের দুধই উৎকৃষ্ট। মায়ের দুধের উপাদানের মধ্যে কলোস্ট্রাম বা শাল দুধ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শালদধ গর্ভাবস্থায় স্তনে সঞ্চিত হতে থাকে এবং প্রসবের পর তিন চার দিন পর্যন্ত মায়ের স্তন থেকে নিসৃত হয়। এই দুধ অত্যান্ত ঘন , আঠালো এবং হলুদ ধরনের হয়। এতে আমিষের পরিমান বেশী এবং স্নেহজাতীয় পদার্থ কম থাকায় নবজাতকের জন্য তা সহজপাচ্য। এই শাল দুধে প্রচুর পরিমাণ রোগ প্রতিরোধক পদার্থ বা এন্টিবডি থাকায় শিশু বিভিন্ন রোগের ( পোলিও , ইনফ্লুয়েঞ্জা অন্যান্য ভাইরাস আক্রমন , ডায়রিয়া ) আক্রমন থেকে রক্ষা পেয়ে থাকে। এই দুধ শিশুর অন্ত্রে ল্যাকটোব্যাসিলাস বিফিডাস নামের এক ধরনের সাহায্যকারী জীবানুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে   যা অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন প্রতিরোধ করে থাকে এবং পরবর্তীকালে শিশুকে আমাশয় বা আন্ত্রিক ভাইরাস রোগ থেকে রক্ষা করে। - জননী স্বীয় সন্তানদের পূর্ণ দুই বছ