সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মানুষ এই গ্রহের বাসিন্দা নয়:


 


ড. এলিস সিলভার দাবি এই মানুষ পৃথিবীর জীব নয়। এই বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী অনেক আগেই বলেছিলেন এলিয়েন আছে। নাসার বিজ্ঞানীরা কেপলার টেলিস্কোপের সাহায্যে এমন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন যাদের মধ্যে প্রাণী রয়েছে। নাসার বিজ্ঞানীদের দাবী এলিয়েনদের থেকে নাসা বেশি দূরে নেই। কয়েক বছরের মাধ্যে নাসা এলিয়েনদের কাছে পৌছাবে। সম্প্রতি নাসার এই মতবাদে জল ঢেলে দিয়েছেন এক বিজ্ঞানী। তিনি তার Human are not for earth - বইতে প্রমান করেছেন মানুষই এলিয়েন। তিনি তার বইতে যুক্তি দিয়ে প্রমান করতে চেয়েছেন মানুষ পৃথিবীর জীব নয়। অন্য জীবদের মত মানুষের সৃষ্টি পৃথিবীতে হয়নি। কয়েক লক্ষ বছর আগে অন্যগ্রহ থেকে মানুষকে পৃথিবীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ড. সিলভার বলেন-মানুষের শরীর থেকে অনেক ত্রুটি বুঝিয়ে দেয় পৃথিবী আমাদের জন্য নয়।
ড. এলিস সিলভার ভাষ্যমতে মানুষকে যে স্থানে সৃষ্টি করা হয়েছিল সেই স্থানটি অনেক আরামদায়ক ছিল। সেখানে মানুষ অনেক সুখে শান্তিতে বাস করতো। সেই সাথে সেখানকার মানুষেরা অনেক নরম মেজাজের এবং আরাম প্রিয় ছিল। তারা এমন একটি জগতে বসবাস করতো যেখানে খাবার সংগ্রহের জন্য কোন প্রকার কষ্ট সহ্য করতে হতো না। সেখানকার প্রকৃতি এমন ছিল যে কোন প্রকার গরম বা শীত অনুভব করতো না। সেখানে সর্বদা একই রকমের পরিবেশ থাকতো। সেই জগতে কোন প্রকার সূর্যের আল্ট্রা-ভায়োলেট রশ্মি ছিলনা যার দরুন মানবদের দেহে কোন প্রকার ক্ষতি বা অসুখ বিসুখ হতো না। অতপর সেই সব মানুষ দ্বারা এমন এক অপরাধ সংঘটিত হয় যার দরুন তাদেরকে শাস্তি স্বরূপ এই পৃথিবীতে প্রেরণ করেন।
সূরা বাকারা: ৩৬: আমি বললাম- তোমরা এখান থেকে নেমে যাও, তোমরা একে অন্যের শত্রু, পৃথিবীতে কিছু কালের জন্য তোমাদের অবস্থান ও জীবিকা রইল।
সুতরাং পৃথিবীর বৈরী আবহাওয়ায় আগমনের পর মানুষ ভিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। ফলে এখানে দীর্ঘায়ূ লাভ করা কোন মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ব্রেস্ট ফিডিং

  গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের পর মায়ের বকে প্রচুর দুধ সঞ্চিত হয়। শিশুর জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে সম্পুর্ণ চাহিদা মেটানোর জন্য মায়ের দুধই উৎকৃষ্ট। মায়ের দুধের উপাদানের মধ্যে কলোস্ট্রাম বা শাল দুধ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শালদধ গর্ভাবস্থায় স্তনে সঞ্চিত হতে থাকে এবং প্রসবের পর তিন চার দিন পর্যন্ত মায়ের স্তন থেকে নিসৃত হয়। এই দুধ অত্যান্ত ঘন , আঠালো এবং হলুদ ধরনের হয়। এতে আমিষের পরিমান বেশী এবং স্নেহজাতীয় পদার্থ কম থাকায় নবজাতকের জন্য তা সহজপাচ্য। এই শাল দুধে প্রচুর পরিমাণ রোগ প্রতিরোধক পদার্থ বা এন্টিবডি থাকায় শিশু বিভিন্ন রোগের ( পোলিও , ইনফ্লুয়েঞ্জা অন্যান্য ভাইরাস আক্রমন , ডায়রিয়া ) আক্রমন থেকে রক্ষা পেয়ে থাকে। এই দুধ শিশুর অন্ত্রে ল্যাকটোব্যাসিলাস বিফিডাস নামের এক ধরনের সাহায্যকারী জীবানুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে   যা অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন প্রতিরোধ করে থাকে এবং পরবর্তীকালে শিশুকে আমাশয় বা আন্ত্রিক ভাইরাস রোগ থেকে রক্ষা করে। - জননী স্বীয় সন্তানদের পূর্ণ ...

জীবন

জীবন কি ? এই প্রশ্নের উত্তর অদ্যবধি কোন বিজ্ঞানী আজ পর্যন্ত দিতে সক্ষম হননি। অনেকেই নিম্নক্তভাবে সংগা প্রদান করে থাকে - জীবনকে ভাবা যেতে পারে অনেকগুলো জড়ের এমন এ জটিল সমাবেশ হিসেবে , যেখানে ঐ জটিলতার কারনে নতুন কিছু গুনের উদ্ভব ঘটে। যেমন হাইড্রোজেন আর অক্সিজেনের নিদৃষ্ট অনুপাতিক সংযোগে পানি তৈরি হয় , যার বৈশিষ্ট হাইড্রোজেন বা অক্সিজেন কোনটার মতই হয় না। তাই জড়ের সুনিদৃষ্ট সন্নিবেশে জীব গঠিত হলেও তার মধ্যে এমন সব নতুন ধরনের বৈশিষ্টের উদ্ভব ঘটে যা তার জড় গাঠনিক উপাদানের মধ্যে ছিলনা। তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে রূহ সম্পর্কে। আপনি বলেদিন এটা আল্লাহর হুকুম মাত্র। - আল-কুরআন। সূরা আনআম , আয়াত - ২ , ৬০ , ৯০ : তিনিই তোমাদের কাদা - মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন , তার পর একটা সময় নিদৃষ্ট করেছেন .. । তিনিই রাত্রে তোমাদের মৃত্যু ঘটান এবং দিনে তোমরা যা কামাই কর তা তিনি জানেন। তারপর দিনে তোমাদেরকে তিনি আবার জীবিত করেন , যাতে নির্ধারিত সময় পূর্ণ করা হয়। মানব জীবন শুরু হয় ...

জন্ম নিয়ন্ত্রণ:

  আজকাল যে জন্ম নিয়ন্ত্রণের আন্দোলন চলছে তার পেছনে সক্রিয় রয়েছে যথারীতি একটা নির্ভেজাল বস্তুবাদী ও স্বেচ্ছাচারবাদী দর্শন। এ ধরনের কোন আন্দোলন যদি রাসূল সা . এর জীবদ্দশায় চালু হতো তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে , তিনি তার প্রতি অভিসম্পাত দিতেন এবং শিরক ও মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে তিনি যেমন জিহাদ করেছিলেন , তার বিরুদ্ধেও তেমনি জিহাদ করতেন। যারা রসুল সা . এর আযল সংক্রান্ত উক্তি সমূহের অপব্যবহার করে তাকে বর্তমান জন্ম নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনে পক্ষে প্রমাণ হিসেবে পেশ করে থাকে , তাদের প্রত্যেকে আমি বলি আল্লাহকে ভয় করুন এবং আল্লাহর রাসুলের বিরুদ্ধে এমন ধৃষ্টতা প্রদর্শন থেকে বিরত থাকুন। পাশ্চাত্যের খোদাহীন কৃষ্টি ও চিন্তাধারা যদি অনুসরণ করতেই হয় তাহলে সোজাসুজি পাশ্চাত্যের জীবন পদ্ধতি মনে করেই গ্রহণ করা উচিত। তা না করে তাকে আল্লাহর ও রসূলের প্রকৃত শিক্ষারূপে আখ্যায়িত করে আল্লাহর অধিকতর গযব ডেকে আনার চেষ্টা কেন ? ইসলাম যে জন্ম নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্নক আন্দোলনকে অনুমোদন করেনা , তে...