আমাদের শরীরে হাজার হাজার ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া অবিরত কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রতিরোধের জন্য। এই সকল প্রাণীসমূহ যদি একটি মুহুর্তের জন্যও তাদের কার্যক্ষমতা ছেড়ে দেয় তাহলে আমাদের বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
মানব জীবনের সাথে যেমন মৃত্যুর অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক তেমনি রোগের সাথেও। আপনি যখন অসুস্থ হন তখন ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হন। ডাক্তার আপনার রোগ বুঝে কিছু ঔষধ লিখে দেন এবং সাথে কিছু উপদেশ। সেই সমস্ত উপদেশ মেনে চললে আপনি সুস্থ থাকবেন। রোগাক্রান্ত হবেননা।(যদি গনোরিয়া হয় তবে-আপনি পতিতালয়ে যাবেননা, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে যৌন জীবন সীমাবদ্ধ রাখবেন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেন ইত্যাদি। যার সবই কুরআনের আইন) চিকিৎসার কাজ হল সাময়িক এবং আপাতত সমাধান। রোগগ্রস্থ হয়ে আপনার যে অঙ্গ বা অংশ নষ্ট হয়েছে তা আর কখনো চিকিৎসার মাধ্যমেও ফিরে পাবেন না। চিরস্থায়ী আরোগ্যের উপায় হলো- রোগ প্রতিরোধ করার মাঝে। কি বিষয় মেনে চললে মানুষ সুস্থ থাকবে তা মানুষের জ্ঞানের বাইরের বিষয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার ফলে এনাটমি এন্ড ফিজিওলজি সম্পর্কে সামান্য কিছু আমরা অবগত হয়েছি মাত্র।
মানব জাতির স্রোষ্টা আল্লাহ। তিনি মানুষের হেদায়াতের জন্য নাযিল করেছেন আল-কুরআন।আল্লাহতায়ালা মানুষের সুস্থতার জন্য কুরআনে যে সমস্ত নির্দেশ দিয়েছেন, সেই নির্দেশসনাসমূহ মেনে চললে আপনি সুস্থ থাকবেন(ইনশাল্লাহ)।
আমি যখন রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আমাকে সুস্থতা দান করেন। আল-কুরআন
সুতরাং রোগ আরোগ্যের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন