ভ্রুণহত্যা:
ভ্রুন হত্যা মহাপাপ। ভ্রুন সৃষ্টির শুরু থেকেই একজন মানুষের জীবনের প্রতি মূল্য দিতে শিখতে হবে। চিকিৎসা বিদ্যার জনক হিপোক্রেটিস তার শপথ বাক্যে বলেছেন-“আমি কাউকে প্রাণ নাশক বিষ বা তার সংবাদ দিবনা এবং বিশেষ করে কোন নারীকে গর্ভপাতের জন্য সহযোগীতা করবনা”।
সূরা-আনআম-১৫১: তোমরা তার সাথে কোন শরীক করবে না, পিতা-মাতার প্রতি সদ্য ব্যাবহার করবে, দারিদ্রের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবেনা, আমরাই তোমাদেরকে ও তাদেরকে রিযিক দিয়ে থাকি। প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে হক, অশ্লীল কাজের ধারে কাছেও যেওনা।
Ø জন্ম নিয়ন্ত্রণ:
আজকাল যে জন্ম নিয়ন্ত্রণের আন্দোলন চলছে তার পেছনে সক্রিয় রয়েছে যথারীতি একটা নির্ভেজাল বস্তুবাদী ও স্বেচ্ছাচারবাদী দর্শন। এ ধরনের কোন আন্দোলন যদি রাসূল সা. এর জীবদ্দশায় চালু হতো তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, তিনি তার প্রতি অভিসম্পাত দিতেন এবং শিরক ও মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে তিনি যেমন জিহাদ করেছিলেন, তার বিরুদ্ধেও তেমনি জিহাদ করতেন। যারা রসুল সা. এর আযল সংক্রান্ত উক্তি সমূহের অপব্যবহার করে তাকে বর্তমান জন্ম নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনে পক্ষে প্রমাণ হিসেবে পেশ করে থাকে, তাদের প্রত্যেকে আমি বলি আল্লাহকে ভয় করুন এবং আল্লাহর রাসুলের বিরুদ্ধে এমন ধৃষ্টতা প্রদর্শন থেকে বিরত থাকুন। পাশ্চাত্যের খোদাহীন কৃষ্টি ও চিন্তাধারা যদি অনুসরণ করতেই হয় তাহলে সোজাসুজি পাশ্চাত্যের জীবন পদ্ধতি মনে করেই গ্রহণ করা উচিত। তা না করে তাকে আল্লাহর ও রসূলের প্রকৃত শিক্ষারূপে আখ্যায়িত করে আল্লাহর অধিকতর গযব ডেকে আনার চেষ্টা কেন?
ইসলাম যে জন্ম নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্নক আন্দোলনকে অনুমোদন করেনা, তেমনি তা স্বেচ্ছায় বন্ধ্যা হবার অনুমতিও দেয়না। জেনে শুনে বন্ধ্যা হওয়াতে দোষ নেই একথা বলা আত্নহত্যাকে বৈধ বলার মতই ভ্রান্ত। আসলে যারা মনে করে যে, মানুষ নিজের শরীর ও শারীরিক শক্তিসমূহের স্বয়ং মালিক এবং এই শরীর ও তার শক্তিসমূহের সাথে যা খুশি তাই করার অধিকার তার রয়েছে, কেবলমাত্র তারাই এ ধরনের কথা বলে থাকে। এই ভ্রান্ত ধারণার কারনেই জাপানিরা আত্নহত্যাকে বৈধ মনে করে থাকে। আর এই ভ্রান্ত ধারনার বশবর্তী হয়ে কোন সাধক সন্যাসী স্বীয় হাত, পা বা জিহ্বাকে পংগু করে দেয়। কিন্তু যে ব্যাক্তি একমাত্র আল্লাহকেই নিজের মালিক ও প্রভু মনে করে এবং এই শরীর ও তার শক্তিসমূহকে আল্লাহর আমানত বলে বিশ্বাস করে, তার দৃষ্টিতে নিজেকে বন্ধ্যা করে দেয়া- অপর কাউকে জোরপূর্বক বন্ধ্যা করা- এসবই কারো দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে দেয়ার মতোই পাপ।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে একথা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, আল্লাহ যে সকল বস্তু হারাম বা অবৈধ করেছেন-সেগুলো লঙ্ঘন করার অর্থই হলো স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করা। আল্লাহর দেয়া আইন ও বিধি-বিধান সমূহ পালন করে মানুষ নিজের অজান্তেই হাজারো রোগের প্রতিকার করে যাচ্ছে-যা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান দ্বারা প্রমানিত।
নবী (সা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি, যার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন