গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের পর মায়ের বকে প্রচুর দুধ সঞ্চিত হয়। শিশুর জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে সম্পুর্ণ চাহিদা মেটানোর জন্য মায়ের দুধই উৎকৃষ্ট। মায়ের দুধের উপাদানের মধ্যে কলোস্ট্রাম বা শাল দুধ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শালদধ গর্ভাবস্থায় স্তনে সঞ্চিত হতে থাকে এবং প্রসবের পর তিন চার দিন পর্যন্ত মায়ের স্তন থেকে নিসৃত হয়। এই দুধ অত্যান্ত ঘন, আঠালো এবং হলুদ ধরনের হয়। এতে আমিষের পরিমান বেশী এবং স্নেহজাতীয় পদার্থ কম থাকায় নবজাতকের জন্য তা সহজপাচ্য। এই শাল দুধে প্রচুর পরিমাণ রোগ প্রতিরোধক পদার্থ বা এন্টিবডি থাকায় শিশু বিভিন্ন রোগের (পোলিও, ইনফ্লুয়েঞ্জা অন্যান্য ভাইরাস আক্রমন, ডায়রিয়া) আক্রমন থেকে রক্ষা পেয়ে থাকে। এই দুধ শিশুর অন্ত্রে ল্যাকটোব্যাসিলাস বিফিডাস নামের এক ধরনের সাহায্যকারী জীবানুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে যা অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন প্রতিরোধ করে থাকে এবং পরবর্তীকালে শিশুকে আমাশয় বা আন্ত্রিক ভাইরাস রোগ থেকে রক্ষা করে। -জননী স্বীয় সন্তানদের পূর্ণ দুই বছর পর্যন্ত স্তন পান করাবে। (সূরা-আল-বাকারা-২৩৩)
জীবন কি ? এই প্রশ্নের উত্তর অদ্যবধি কোন বিজ্ঞানী আজ পর্যন্ত দিতে সক্ষম হননি। অনেকেই নিম্নক্তভাবে সংগা প্রদান করে থাকে - জীবনকে ভাবা যেতে পারে অনেকগুলো জড়ের এমন এ জটিল সমাবেশ হিসেবে , যেখানে ঐ জটিলতার কারনে নতুন কিছু গুনের উদ্ভব ঘটে। যেমন হাইড্রোজেন আর অক্সিজেনের নিদৃষ্ট অনুপাতিক সংযোগে পানি তৈরি হয় , যার বৈশিষ্ট হাইড্রোজেন বা অক্সিজেন কোনটার মতই হয় না। তাই জড়ের সুনিদৃষ্ট সন্নিবেশে জীব গঠিত হলেও তার মধ্যে এমন সব নতুন ধরনের বৈশিষ্টের উদ্ভব ঘটে যা তার জড় গাঠনিক উপাদানের মধ্যে ছিলনা। তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে রূহ সম্পর্কে। আপনি বলেদিন এটা আল্লাহর হুকুম মাত্র। - আল-কুরআন। সূরা আনআম , আয়াত - ২ , ৬০ , ৯০ : তিনিই তোমাদের কাদা - মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন , তার পর একটা সময় নিদৃষ্ট করেছেন .. । তিনিই রাত্রে তোমাদের মৃত্যু ঘটান এবং দিনে তোমরা যা কামাই কর তা তিনি জানেন। তারপর দিনে তোমাদেরকে তিনি আবার জীবিত করেন , যাতে নির্ধারিত সময় পূর্ণ করা হয়। মানব জীবন শুরু হয় ...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন