সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সিরোসিস অব লিভার:


সিরোসিস অব লিভার:

লিভার সিরোসিস একটি কঠিন ব্যাধি। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী ক্রম অগ্রসরমান রোগ। এই রোগকে আমরা যকৃতকোষের অধোগমনজনিত কোষবিনষ্ট, কোষ পুন:নির্মাণ এবং কোষস্থলে অংশুময় অন্তর প্রতিস্থাপনের ফলশ্রতি বলতে পারি। অতিরিক্ত মদ্যপানকে এই রোগের একটি কারণ বলে উল্লখ করা হয়। এছাড়া খাদ্যে প্রোটিনের অপর্যাপ্ততা এবং বি-ভিটামিনের অভাব আমাদের দেশে লিভার সিরোসিসের প্রধান কারন। কোলন, মেথিওনিন প্রভৃতি লাইপোট্রপিক উপাদান যকৃতে চর্বির অনুপ্রবেশ রোগ করে তাই এইগুলির অভাব যকৃতকোষে চর্বি জমা করে সিরোসিস জনিত পরিবর্তনের অতি প্রাথমিক পরিবেশ সৃষ্টি করে।

সিরোসিস অব লিভার-এর কারন:

o       দীর্ঘদিন যাবত অখাদ্য, কু-খাদ্য কিংবা অপুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করলে ধীরে ধীরে এই রোগে আক্রান্ত হয়।

o       ক্রমাগত রাত্রি জাগরণ, মদ্য পান ধুম-পান করলেও এই রোগে আক্রান্ত হয়। হেপাটাইটিস রোগ হতে এই রোগ হতে পারে।

o       ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর প্রভৃতি রোগ থেকে হেপাটাইটিস রোগ হয় এবং পরে তা সিরোসিসে রূপ নিতে পারে।

o       মদ্যপানের জন্য সিরোসিস হতে পারে।

o       দীর্ঘদিনের পিত্তনালীর ব্যাথা হলে সিরোসিস হতে পারে।

o       হেপাটাইটিস বি থেকেও সিরোসিস রোগ হতে পারে।

জীবানু দূষণ থেকে পোর্টাল বিলিয়ারী সিরোসিস হতে পারে।

 


 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ব্রেস্ট ফিডিং

  গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের পর মায়ের বকে প্রচুর দুধ সঞ্চিত হয়। শিশুর জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে সম্পুর্ণ চাহিদা মেটানোর জন্য মায়ের দুধই উৎকৃষ্ট। মায়ের দুধের উপাদানের মধ্যে কলোস্ট্রাম বা শাল দুধ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শালদধ গর্ভাবস্থায় স্তনে সঞ্চিত হতে থাকে এবং প্রসবের পর তিন চার দিন পর্যন্ত মায়ের স্তন থেকে নিসৃত হয়। এই দুধ অত্যান্ত ঘন , আঠালো এবং হলুদ ধরনের হয়। এতে আমিষের পরিমান বেশী এবং স্নেহজাতীয় পদার্থ কম থাকায় নবজাতকের জন্য তা সহজপাচ্য। এই শাল দুধে প্রচুর পরিমাণ রোগ প্রতিরোধক পদার্থ বা এন্টিবডি থাকায় শিশু বিভিন্ন রোগের ( পোলিও , ইনফ্লুয়েঞ্জা অন্যান্য ভাইরাস আক্রমন , ডায়রিয়া ) আক্রমন থেকে রক্ষা পেয়ে থাকে। এই দুধ শিশুর অন্ত্রে ল্যাকটোব্যাসিলাস বিফিডাস নামের এক ধরনের সাহায্যকারী জীবানুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে   যা অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন প্রতিরোধ করে থাকে এবং পরবর্তীকালে শিশুকে আমাশয় বা আন্ত্রিক ভাইরাস রোগ থেকে রক্ষা করে। - জননী স্বীয় সন্তানদের পূর্ণ ...

থ্যালাসেমিয়া:

  থ্যালাসেমিয়া রক্তের লোহিত রক্ত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগের নাম। এই রোগে লোহিত রক্ত কণিকাগুলো নষ্ট হয়। ফলে রোগী রক্তশূন্যতায় ভোগে। এই রোগ বংশপরম্পরায় হয়ে থাকে। এটি একটি অটোসোমাল রিসিসিভ ডিজঅর্ডার, অর্থাৎ বাবা ও মা উভয়েই এ রোগের বাহক বা রোগী হলে তবেই তা সন্তানে রোগলক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায়। চাচাতো-মামাতো-খালাতো ভাইবোন বা অনুরূপ নিকট আত্নীয়য়ের মধ্যে বিয়ে হলে এ ধরনের রোগে আক্রান্ত সন্তান জন্ম দেওয়ার আশঙ্কা বহুগুন বেড়ে যায়। সূরা নিসা-২৩: তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা, মেয়ে, বোন, ফুফু, খালা ভায়ের মেয়ে, বোনের মেয়ে, দুধমা, দুধবোন, শাশুড়ী ও তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সাথে সংগত হয়েছে তার আগের স্বামীর ওরসে তার গর্ভজাত মেয়ে, যারা তোমাদের অভিভাবকত্বে আছে। তবে যদি তাদের সাথে সংগত না হয়ে থাক, তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই। আর তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ তোমাদের ঔরসজাত ছেলের স্ত্রী ও দুই বোনকে একত্র করা। আগে যা হয়েছে, হয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশিল, পরম দয়ালু।   সূরা নিসা-২২: নারীদের মধ্যে তোমাদের পিতৃপুরুষ যাদেরকে বিয়ে করেছে, তোমরা তাদের বিয়ে করো না। নিশ্চয় তা ছিল অশ্লী...

টিউমার

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, টিউমার হচ্ছে— কিছু অস্বাভাবিক টিস্যুর সমাবেশ, যেখানে কোষগুলো অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সংখ্যা বাড়ায়। টিস্যু মানেমানবদেহে বিলিয়ন নয়, ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন কোষ আছে। ধরা হয়, একজন প্রাপ্তবয়স্কের দেহে গড়ে ৩০ ট্রিলিয়নের মতো কোষ থাকে। কোষের ভেতর কিছু নিয়মে পুরনো কোষ মরে যায়, নতুন কোষ জন্ম নেয়, আবার কিছু কোষ আকারে বাড়ে, কিছু কোষ সংখ্যায় বাড়ে। কিন্তু কোন কোষ মরে যাবে এবং কোন কোষ কতগুলো নতুন কোষ জন্ম দিতে পারবে, কোন কোষের আকার কেমন হবে— কোষের এমন সব বৈশিষ্ট্যকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কোষের ভেতর কিছু নির্দেশ বা নিয়ম থাকে। আর সে নিয়মগুলো থাকে ডিএনএতে। কোনো কারণে ডিএনএর মধ্যে থাকা এ নির্দেশ প্রক্রিয়া পরিবর্তন হয়ে গেলে কোষগুলো তখন অস্বাভাবিকভাবে নতুন কোষের জন্ম দিতে থাকে, পুরনো কোষ মরে না গিয়ে হযবরল ঘুরতে থাকে, অথবা নতুন জন্ম নেওয়া কোষগুলো কাজবিহীন ঘুরে বেড়ায়। কারণ কোষগুলোতে কোথায় গিয়ে থামতে হবে তার নির্দেশ থাকে না, কী কাজ করবে তার নির্দেশটি পরিবর্তন হয়ে যায়। তখন পরিবর্তিত ডিএনএর নির্দেশে রোবটের মতো একের পর এক নতুন কোষের জন্ম দিতে থাকে, নতুন অস্বাভাবিক কোষের সংখ্যা বেড়ে বেড়ে ...