আজকাল যে জন্ম নিয়ন্ত্রণের আন্দোলন চলছে তার পেছনে সক্রিয় রয়েছে যথারীতি একটা নির্ভেজাল বস্তুবাদী ও স্বেচ্ছাচারবাদী দর্শন। এ ধরনের কোন আন্দোলন যদি রাসূল সা. এর জীবদ্দশায় চালু হতো তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, তিনি তার প্রতি অভিসম্পাত দিতেন এবং শিরক ও মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে তিনি যেমন জিহাদ করেছিলেন, তার বিরুদ্ধেও তেমনি জিহাদ করতেন। যারা রসুল সা. এর আযল সংক্রান্ত উক্তি সমূহের অপব্যবহার করে তাকে বর্তমান জন্ম নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনে পক্ষে প্রমাণ হিসেবে পেশ করে থাকে, তাদের প্রত্যেকে আমি বলি আল্লাহকে ভয় করুন এবং আল্লাহর রাসুলের বিরুদ্ধে এমন ধৃষ্টতা প্রদর্শন থেকে বিরত থাকুন। পাশ্চাত্যের খোদাহীন কৃষ্টি ও চিন্তাধারা যদি অনুসরণ করতেই হয় তাহলে সোজাসুজি পাশ্চাত্যের জীবন পদ্ধতি মনে করেই গ্রহণ করা উচিত। তা না করে তাকে আল্লাহর ও রসূলের প্রকৃত শিক্ষারূপে আখ্যায়িত করে আল্লাহর অধিকতর গযব ডেকে আনার চেষ্টা কেন?
ইসলাম যে জন্ম নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্নক আন্দোলনকে অনুমোদন করেনা, তেমনি তা স্বেচ্ছায় বন্ধ্যা হবার অনুমতিও দেয়না। জেনে শুনে বন্ধ্যা হওয়াতে দোষ নেই একথা বলা আত্নহত্যাকে বৈধ বলার মতই ভ্রান্ত। আসলে যারা মনে করে যে, মানুষ নিজের শরীর ও শারীরিক শক্তিসমূহের স্বয়ং মালিক এবং এই শরীর ও তার শক্তিসমূহের সাথে যা খুশি তাই করার অধিকার তার রয়েছে, কেবলমাত্র তারাই এ ধরনের কথা বলে থাকে। এই ভ্রান্ত ধারণার কারনেই জাপানিরা আত্নহত্যাকে বৈধ মনে করে থাকে। আর এই ভ্রান্ত ধারনার বশবর্তী হয়ে কোন সাধক সন্যাসী স্বীয় হাত, পা বা জিহ্বাকে পংগু করে দেয়। কিন্তু যে ব্যাক্তি একমাত্র আল্লাহকেই নিজের মালিক ও প্রভু মনে করে এবং এই শরীর ও তার শক্তিসমূহকে আল্লাহর আমানত বলে বিশ্বাস করে, তার দৃষ্টিতে নিজেকে বন্ধ্যা করে দেয়া- অপর কাউকে জোরপূর্বক বন্ধ্যা করা- এসবই কারো দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে দেয়ার মতোই পাপ।
Ø দন্ত রোগসমূহ দন্তক্ষয়: দন্তক্ষয় বা কেরিজ একটি জীবানু জনিত রোগ। যে ধরনের জীবানু এই রোগের সৃষ্টি করে তার মধ্যে স্ট্রেপটোকক্কাস ও ল্যাকটোবেসিলাস নামক জীবাণুই প্রধান। দাঁতের গায়ে জমে থাকা খাদ্যদ্রব্যের উপর অম্ল প্রস্তুতকারী জীবানু স্থানীয়ভাবে অম্ল সৃষ্টি করে যা দাঁতের ক্ষয়সাধন করে এবং দাঁতের গায়ে গর্তের সৃষ্টি করে। এটাই দন্তক্ষয় রোগ বা কেরিজ। জীবানু প্রলেপ, ডেন্টাল প্লাগ বা ব্যাকটেরিয়াল প্লাগ মুখে সাধারণত: বিভিন্ন ধরনের জীবাণু অবস্থান করে। আহারের পরে মুখ ও দাঁত ভালভাবে পরিষ্কার না করলে ঐ সব জীবানু দাঁতে লেগে থাকা খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে এবং এইভাবে লক্ষ লক্ষ জীবাণু জমে উঠে। এই ধরনের জীবাণু স্তরকে ব্যাকটেরিয়াল প্লাগ বলে। সহজ কথায় ভোরবেলায় যে আঠাল সাদা বস্তু মুখের মধ্যে পাওয়া যায, এটাই জীবাণু প্রলেপ। পরীক্ষা করলে দেখা যায় প্রতি মিলিগ্রাম জীবানু প্রলেপে ৪০ কোটিরও অধিক জীবাণু অবস্থান করে। খাদ্যকনা ভালভাবে কুলকুচা করলে ধুয়ে যাবে, কিন্তু ডেন্টাল প্লাগ জীবানু প্রলেপ আঠালো বলে কেবল ব্রাশ ব্যবহার করলেই দূরীভুত হতে পারে। দন্ত শাস্ত্রে দাতের দুইট...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন